বর্ষার অঝোর ধারা অব্যাহত আজও
কী ভাবি আর কী আসে মনের দ্বার উন্মোচিত করে! এই গানখানি বাবা গাইতেন বর্ষাকালের বিদ্যুৎ হীনা সন্ধেবেলার ক্ষণে। বারান্দায় বসে, কোন রবিবার কিংবা শনিবার। আকাশের বিদ্যুৎ যখন শব্দহীন, ক্ষীণ আলোর ঝলকানি জানান দিয়ে যায়, এপাড়া, ওপাড়ায়... আমার হ্যারিকেন, আমার কে।পি।বাসু। আর আমার দিস্তা খাতা।
আমার মাদুরকাঠি উপড়ে যাওয়া মাদুর। আমার এক বুক উপুর করা রবীন্দ্রভাবনার বীজবিন্দু বপন। আপন মনে...
কত পুরাতন ছবি খুঁজে পাই আজও...
পূজা। ৯৯।
বাজাও আমারে বাজাও
বাজালে যে সুরে প্রভাত-আলোরে
সেই সুরে মোরে বাজাও ॥
যে সুর ভরিলে ভাষাভোলা গীতে
শিশুর নবীন জীবনবাঁশিতে
জননীর-মুখ-তাকানো হাসিতে--
সেই সুরে মোরে বাজাও ॥
সাজাও আমারে সাজাও।
যে সাজে সাজালে ধরার ধূলিরে
সেই সাজে মোরে সাজাও।
সন্ধ্যামালতী সাজে যে ছন্দে
শুধু আপনারই গোপন গন্ধে,
যে সাজ নিজেরে ভোলে আনন্দে--
সেই সাজে মোরে সাজাও ॥
রাগ: রামকেলী
তাল: তেওরা
রচনাকাল ২৯ ভাদ্র, ১৩২০
রচনাস্থান: সমুদ্রবক্ষে, SS City of Lahore
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
বাবার গলায়,
গহন রাতে শ্রাবণধারা পড়িছে ঝরে
কেন গো মিছে জাগাবে ওরে
এখনো দুটি আঁখির কোণে যায় যে দেখা
জলের রেখা...
Comments
Post a Comment