দ্রিমি দ্রিমি অস্পষ্ট...






অন্ধকারে অন্ধকার মিলিয়ে যেতেই
ধরা পরে গেল অনেকগুলি কুকুর
রাস্তার ধারে কুন্ডুলী তুলছে কিছু পেতে
ধোঁয়ার মন্দ্র পাকস্থলী দারগ্রহণ করে
সে মধুর স্বর শুয়ে পড়েনি এখনও
ঘুমে ঢুলু শহরতলীতে পুলকে রোজ
যারা ট্রেনে ব্যাথা খোঁজে, মরে গেলেও
বাঁচিবারে দেহ অধিকার কেড়ে
ভ্রুণ হয়ে দৌড়ে আসে কিছুটা নিতম্ব ঘেঁষে
মন্দারমনি, পরস্ত্রী আর পাবে কোথায়!
যেন শুনতে পায় ‘দরজাটা খোল’ খাটের পাশে
নুপুর বাজাতেই থাকে যাচ্ছেতাই ভরসা
পেয়েছিল পুরাণ আর জিন্সের পকেটে
এখনও সেই চিরকুট যদিও ঝাপসা
লিখে গেছিল  হুল্লোড় বাড়ির অসহায়
সামনের পাঁচিলে শ্বেতপ্রদর মা পা নি সা
জেনেছিল  বিচ্ছেদেই সুপ্ত
এখনও বেঁচে আছ বনলতা সেনগুপ্ত!




মাকে নিয়ে একা বাঁচে কিছুটা দূর
থেকে দেখা যায় ইস্কুলবাড়ী সবচেয়ে
উঁচু, পাঁচিলের গায়ে রোজই কবিতা আঁকে
সন্তর্পণে যাতে বড়দিদি না দেখে, 'মেয়ে
তোমার ক্লাসের সময় নেচে নেচে নষ্ট
করছ জীবন নদীর জল চেনো না?'
কবি আর কোলাব্যাঙ মিলন তিয়াস 
পল্লির বুকে ভেসে গেল দ্রিমি দ্রিমি অস্পষ্ট


Comments