গ্রহপুঞ্জের সমস্ত রুচিহীনা
আমার কবিতা বয়ে চলে সরস্বতীর নীচে
শিবের ডানহাত আরও বাস্তুসাপ ধরে, এসে থমকায় –
নড়ে যায় বাড়ির ভীত, সবুজের ডান চোখ কাঁপে
নেমে যায় অতল চোরাপথে মাটি খুঁড়ে
কোনও এক পৃথিবীর আশ্চর্যের গৌরীপিটে।
জানিনা কতদিন লেগেছিল সেই বয়ে চলা
জানিনা কতদিন লেগেছিল সেই বয়ে চলা
কবিতা আমার থেমে, থেমে, থেমেছিল বলা
একাকি কি ভয় সে পেয়েছিল কিছু!
নাকি রোমকূপ খাঁড়া হয়ে যাওয়ার আগে
নাকি রোমকূপ খাঁড়া হয়ে যাওয়ার আগে
ওর গলায় তেতো স্বাদ জল খাব
বলে!
জানিনা। তবু, হাটি পিছু, পিছু।
আমার সে কবিতার ভাঙা ভাঙা কাঁচ
গুড়ো হওয়া চাঁদের বিলাপ শুনে
সিন্ধুর সেই মেয়েটির হাতখানি ধরে জেগেছিল কিনা
যাইহোক, আমার কবিতা আর আমি বয়ে চলি
মাঝে মাঝে ওর কাঁধে বিশ্রাম হয়ে জলফোঁটা গুনি।
সিন্ধুর সেই মেয়েটির হাতখানি ধরে জেগেছিল কিনা
যাইহোক, আমার কবিতা আর আমি বয়ে চলি
মাঝে মাঝে ওর কাঁধে বিশ্রাম হয়ে জলফোঁটা গুনি।
আবার জানলেও বলি কোন মুখে!
কবিতা ভাসিয়ে দিই ওর তুলোর ভিতর হাত রেখে
গরম পায়, পায় ওম, বিন্দু বিন্দু ঘাম ঝরে পড়ে।
কতদিন আর বয়ে নিয়ে যাব সেই সাধনা
স্নান সেরে উঠে দাঁড়াবে অম্লান বাঙময় অবয়বহীনা।
আমার কবিতাখানি পড়বেই ধরা
ওই সরস্বতী, সিন্ধুর আদরে আদরে
জেগে উঠে ডাক দেবে ঘৃণা ঘৃণা
রাতের তারাদল, নিজের একরোখা বাস্তুসাপ
রাতের তারাদল, নিজের একরোখা বাস্তুসাপ
আর যত প্রাচীনতম বেহায়া বয়সন্ধী
আমি আর সে, আদরের কবিতা লিখে
মুছে দেব জল দিয়ে
যে আমার গ্রহপুঞ্জের সমস্ত রুচিহীনা।
Comments
Post a Comment