একপ্রকার ভাল লাগার যন্ত্রণা
একপ্রকার ভাল লাগার যন্ত্রণা
মাঝে মাঝে বেড়িয়ে পরতে চায়
তাকে কবিতায় বেঁধে রাখে কেউ,
কেউ কেউ বেঁধে রাখে কথায়
ঝাঁপি বন্ধ বিষদাঁত উপড়ে নেওয়া বিষধর সাপের যত
ফোঁস করা ফোকলা মাড়ি নিয়ে বেঁচে থাকার মত!
যাই হোক - --
এই যে বাইরের অক্টোবরের বৃষ্টি
এইযে একই রকম পরিত্যক্ত দৃষ্টি
নিয়ে মহানাগরিক দৃঢ়, নির্জন ফানুস,
এইযে সর্পিল পিল পিল মৃত মৃত মানুষ
সবাই ভাবে এখনও চারিদিক নান্দনিক!
তখন পাঁচিলে পাঁচিলে সন্তর্পণে পা রাখি ঠিক।
দেখি পাশেই, শহরের সবচেয়ে লম্বা রাস্তা
দেখি পাশেই, শহরের সবচেয়ে লম্বা রাস্তা
ওর বুকে সমান পিষে দেওয়া সংগমরত কুকুরের
জৈব-জ্যামিতিক দাম্পত্য পাকস্থলী।
দেখি আরও আরও আরও বাহারের ঝিলমিলি
গাড়ি, বাতানুকুল যান,
নঞ-শৈল্পিক বিহারী সারি
ওদের চাকার তলায় সারাদিন, সারাদিন,
শুয়ে থাকি!
শুয়ে থাকতে থাকতেই ভাবি কোন আলাদিন বাবু
বা অন্য কেউ সকালে বেলচা,
টিনের পাত্তি দিয়েও খুঁটে পারবেনা
তুলে ধরতে আমার মৃতকে!
আর তুলবেই বা কাকে!
ওই মজাদার জমাদার জানবেনা
সেও যন্ত্রণায় বসে পড়েছে কোন বিষদাঁত ওপড়ানো মনে
অক্টোবরের বৃষ্টি, তুমি নাকি রানি
সাজতে ভালবাস!
সাজতে ভালবাস!
কিন্তু এই ভালবাসার যন্ত্রণা ধুতে পারবেনা, জানি
তাই শুয়ে আছি। যতটুকু বাঁচি!
দেখি, আর কত অক্টোবর
এই পরিত্যক্ত বাসা, এই ঝাঁপি, এই মাত্র এই ঘর
এই সর্পিল পরিখায়!
আমার এই ভ্রাম্যমান পচন মনে
হতে পারে)
গান ধরে,
খায়, দায়, কলতলায়!
ভুল করে।
Comments
Post a Comment