বাবা তারপর মা

এত জোরে দৌড়াতে পার!
ষোল বছর শুয়ে থাকলে কেন
সত্যি করে বল খুঁজে দেখতে গেলে
সারা জীবন পণ করে যে সহজিয়া বৃষ
সেই সত্য আগামিকাল কি ভাবে লিখতে হবে
জানিনা তার মহাপদ্ম ওম
রেখে কোথায় দিলে গুছিয়ে।
এত জোরে দৌড়াতে পারে কেউ!
বাড়ি থেকে বেড়িয়েই শ্মশানের তীর
অহেতুক বিধাতাও তোমার তীব্রতা জেনে
সাজিয়েই ছিল না কোন শবদেহ
এতবার সৎকার এল – ছুটে গেছি যতবার
মনে আছে অপলক মুখাগ্নি পাইনি কখনও
সত্যি করে বল বলবনা
মিথ্যে কথা বলনি কখনও জানি
যে অর্বুদ লেখা ছবি কথা রেখে গেছ
ভয় পাই – মা, বউ, মেয়ের কথা ভেবে
কাল যদি আমি তুমি হয়ে পড়ি!
সারা বছর ঘুরে যাবে আরও কতবার
অপত্য পাওনি সেই ঠোটও ফোলাওনি
মান বয়ে বয়ে গেলে ব্যর্থস্তনী শিশু দেবশিশু
এত জোরে দৌড়ালে তাই
পচাত্তর বছর মাতৃহীনা
মা’র কাছে দৌড়ে করবে নালিশ।


যাও।

 ===
  

বিচারক পৃষ্ঠা উল্টাতে অনাদায়ে আরও ছয়মাস
বলছ যা বলব সত্য বলব না কেন দশদিন ছিল
ভেন্টিলে্টরেই ভাল চিকিৎসক ইংরেজি শব্দকোষে
অনর্গল একমাত্র সাক্ষী ছিল না-হৃদ্য মায়ের
তখনই মৃত্যু এসেছিল প্রায় গায়ের জোর
খাটিয়েও দেখেছিলে এ যে থামানো ব্যর্থ
প্রক্রিয়াই শুধু শুধু পঙ্গু করেই দিতে আমাকে
উজার করেছ ধার-বাকি তির্যক নানা প্রশ্নবাণে-
পারবে! কবে! ছুঁড়ে ছুঁড়ে দিয়েছিল আত্মীয় অ-বন্ধু
জানত কি পাই পয়সার হিসেব নিকেশ
লেখা খাতা কবিতা হতে চাইলেই আর কি পারব
দাহ পরিশেষে ঝাঁপ দিলে বাইপাসে কালো
মুষ্টিহাত যা কিছু আছে যাও দিয়ে তবু
শেষ পর্যন্ত তস্কর তার মনে চড়ে ওই
ভালো ছেলেটা কী সাংঘাতিক ছিঃ ছিঃ
মাতৃঋণ মিটে গেল (তাই বলে!) আজ
জেলের ভিতর।
মাগো, আর পারছিনা নিয়ে যাও আবার
তোমার সু-ক্ষীণ কটি কর্কট সন্তানথলীতে


Comments

Popular Posts